You are currently viewing শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলে যা করা উচিত

শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলে যা করা উচিত

সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ থাকা উচিত। ৯৫–এর নিচে নেমে গেলেই জটিলতা হতে থাকে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণে অনেকেরই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। দেশে চিকিৎসাসুবিধা পর্যাপ্ত নয়। হাসপাতালগুলোতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (ICU) সংকট রয়েছে।
এ রকম অবস্থায় আক্রান্ত হলে এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে টের পেলে কী করবেন, রোগী বা তাঁর স্বজনেরা বুঝে উঠতে পারেন না।

যেভাবে বুঝবেন অক্সিজেন কমে যাচ্ছে কি না
* মাথাব্যথা।
* শ্বাসকষ্ট।
* হৃৎস্পন্দন দ্রুত ওঠানামা করা।
* কাশি।
* মাথা ঝিমঝিম করা।
* দম নিতে অসস্তি বোধ হওয়া।

পালস অক্সিমিটার একটি পরিচিত শব্দ। এই কোভিড-কালে অনেকেই বাসায় পালস অক্সিমিটার রাখছেন। অক্সিমিটার দিয়ে নিয়মিত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করে জেনে নিন সবর্শেষ অবস্থা।
সেক্ষেত্রে নামি দামি ব্রান্ডরে পালস অক্সিমিটার কিনতে পারেন এখান থেকে পালস অক্সিমিটার শপ
তবে অক্সিমিটার না থাকলে ওপরের লক্ষণগুলো দেখলে বঝুবেন, রোগীর অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে যা করবেন
এমন পরিস্থিতি হলে রোগী বা রোগীর স্বজনেরা প্রথমেই ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যান। এই ভয় বা চাপ রোগীকে আরও খারাপ অবস্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এ ক্ষেত্রে মানসিকভাবে শক্ত থেকে রুগিকে নিচের নিদের্শনাগুলো অনুসরণ করুন।

ধীরস্থির থাকুন: তাড়াহুড়ো করবেন না। হাঁটাচলার মধ্যে থাকলে স্থির হয়ে যান। এ সময় কিছু খাবেন না।

লোকসমাগম কমিয়ে ফেলুন: বেশি লোকের উপস্থিতি এমনিতেই অক্সিজেন কমিয়ে কার্বন ডাই–অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এমন অবস্থায় আশপাশ থেকে লোকজন সরিয়ে দিন।

শ্বাসকষ্ট শুরু হলে উপুড় হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ুন। একে বলা হয় প্রোনিং পদ্ধতি। বিশেষ করে কয়েকটি বালিশ সঙ্গে রাখবেন।
মুখ বা গলার কাছে একটি, বুক ও পেটের নিচে দুটি এবং পায়ের তলায় একটি বালিশ দিয়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এতে অক্সিজেনের প্রবাহ কিছুটা বাড়তে পারে।

গায়ের আঁটসাঁট পোশাক খুলে ফেলুন: অন্তর্বাস, টাইট পোশাক, গলার টাই, জুতা-মোজা, প্যান্ট-বেল্ট—এমন পোশাক শরীর থেকে খুলে ফেলুন বা ঢিলে করে দিন।
পরিহিত জামার গলার কাছের বোতাম লাগানো থাকলে দ্রুত খুলে ফেলুন।
দরজা–জানালা খুলে দিন: বদ্ধ ঘরে থাকলে অতিসত্বর ঘরের দরজা–জানালা সব খুলে ঘর উন্মুক্ত করে দিন, তাতে ঘরে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়বে।

শ্বাসের ব্যায়াম করুন: ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করা অত্যন্ত উপকারী। ব্যায়ামের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া রইল।

১. সোজা হয়ে বসুন। প্রথমে ফসুফুসের সবটুকু বাতাস বের করে দিন। চোখ ও মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে শ্বাস নিন। সাধারণত ১ থেকে ৪ পর্যন্ত গুনতে যতটুকু সময় লাগে,
ততটুকু সময় ধরে শ্বাস নিন। ১-৭ পর্যন্ত গোনার সময় ধরে শ্বাস ভেতরে আটকে রাখুন। এরপর মুখ গোল করে শ্বাস গ্রহণের দ্বিগুণ সময় অর্থাৎ ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে বাতাস বের করে দিন।
কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে অন্তত চারবার এ রকম করুন। দিনে অন্তত দুবার এই ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

২. আগের মতো গভীর শ্বাস গ্রহণ করুন। তবে এ ক্ষেত্রে শ্বাস গ্রহণের গতি ক্রমান্বয়ে কমে আসবে। এরপর শ্বাস ছাড়ার সময় এক, দুই,
তিন এভাবে পাঁচ বা ছয় পর্যন্ত গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়ুন। ব্যায়ামটি করার সময় চোখ বন্ধ রাখুন।
৩. মখু বন্ধ করে দ্রুত লয়ে শ্বাস নেওয়ার ব্যায়ামকে বলে ‘বেলো ব্রিদিং’। প্রতি সেকেন্ডে অন্তত তিনবার শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার চেষ্টা করুন।
উল্লেখ্য, শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার তুলনামূলক সময় সমান রাখার প্রতি খেয়াল রাখুন।

প্রাথমিকভাবে উপরিল্লিখিত কাজগুলো করার পরেও রুগির অবস্থা পরিবর্তন না হলে আপনি একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে অথবা ভাড়ায় নিয়ে নিন।
আর এই সেবাটি দিচ্ছি আমরা। রাত দিন ২৪ ঘন্টা নিরবিছিন্ন অক্সিজেন সেবা পেতে কল করুন 01714585817 এই নাম্বারে।
মেডিকেল যে কোন সারন্জম পেতে ভিজিট করুন এই ওয়েব-সাইটে www.oxygencylinderbd.com

ঢাকা সহ সমোগ্র বাংলাদেশে এই সেবাটি সরবরাহ করছি।
ঢাকার মধ্যে সর্বোচ্চ ২ ঘন্টায় পাচ্ছনে ফ্রি হোম ডেলিভারি।
ঢাকার বাইরে ২-৩ দিনে মধ্যে ডেলিভারি করা হয়।

আসা করি হটাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে উক্ত পদ্বতি কিছুটা হলে সস্তি পেতে সহায়ক হবে।

ধৈর্য ধরে পরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।